Prothom Alo Prothom Alo | মধ্যপ্রাচ্য

জরুরি চিকিৎসার জন্য গাজা থেকে বের হতে না পেরে ১০৯২ ফিলিস্তিনির মৃত্যু

প্রকাশিত হয়েছে: ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০১:১৭ পূর্বাহ্ণ
জরুরি চিকিৎসার জন্য গাজা থেকে বের হতে না পেরে ১০৯২ ফিলিস্তিনির মৃত্যু
জরুরি চিকিৎসার জন্য ফিলিস্তিনের গাজা ত্যাগের অপেক্ষায় থাকা এক হাজারের বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। উপত্যকাটিতে ইসরায়েলের চলমান জাতিগত নিধনের মধ্যে গত দেড় বছরে তাঁদের মৃত্যু হয়। আজ শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এ তথ্য জানিয়েছে।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ডব্লিউএইচওর প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলেন, দুই বছর আগে গাজায় ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকে গুরুতর অবস্থায় থাকা ১০ হাজার ৬০০ জনের বেশি রোগীকে উপত্যকাটি থেকে বের করতে সক্ষম হয়েছে ডব্লিউএইচও এবং তাদের অংশীদারেরা। এই রোগীদের মধ্যে ৫ হাজার ৬০০ জনের বেশি শিশু।

চিকিৎসার জন্য আরও বহু রোগী গাজা ত্যাগের অপেক্ষায় রয়েছেন বলে সতর্ক করেন ডব্লিউএইচওর প্রধান। গাজার স্থানীয় কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যের বরাতে তিনি বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত চিকিৎসার জন্য উপত্যকাটি ত্যাগের অপেক্ষায় থাকা ১ হাজার ৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে।গাজায় অবস্থান করা রোগীদের জন্য আরও বেশি দেশের ‘দরজা খুলে দেওয়ার’ আহ্বান জানান গেব্রেয়াসুস। আর চিকিৎসার জন্য গাজা ত্যাগ না করতে পেরে মৃত্যু ফিলিস্তিনির সংখ্যা বাস্তবতার চেয়ে কম বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এই সংখ্যা তিন থেকে চার গুণ বেশি হতে পারে বলে চলতি মাসের শুরুর দিকেই জানিয়েছিল আন্তর্জাতিক চিকিৎসা-মানবিক সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস।

দুই বছরের বেশি সময় ধরে গাজায় ইসরায়েলের টানা হামলার পর ১০ ডিসেম্বর থেকে উপত্যকাটিতে যুদ্ধবিরতি চলছে। এরপরও গাজায় প্রায়ই হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে এখন পর্যন্ত ৭০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ লাখ ৭১ হাজার। তাঁদের মধ্যে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন থাকা ১০ হাজার ৬০০ রোগীকে ৩০টির বেশি দেশ আশ্রয় দিয়েছে। এর মধ্যে মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ হাতে গোনা কয়েকটি দেশ বেশিসংখ্যক ফিলিস্তিনি রোগী নিয়েছে।

এদিকে আজ যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামিতে গাজার যুদ্ধবিরতির পরবর্তী ধাপ নিয়ে আলোচনার কথা রয়েছে। সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটফের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা কাতার, মিসর ও তুরস্কের প্রতিনিধিদের। বৈঠকের আগে হামাস বলেছে, দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের বিষয়টিকে কেন্দ্র করে হতে হবে।