Daily Ittefaq
|
জাতীয়
আর্থিক সহায়তা বা অনুদান নয়, অসমাপ্ত বিপ্লব সমাপ্ত করতে চাই: ওসমান হাদির ভাই
প্রকাশিত হয়েছে: ২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০২:৪৮ অপরাহ্ণ
গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করা বিপ্লবী আন্দোলনের অগ্রদূত ওসমান হাদির অসমাপ্ত সংগ্রাম শেষ করার আহ্বান জানিয়েছেন তার মেজো ভাই ওমর বিন হাদি। স্পষ্ট ভাষায় তিনি বলেন, পরিবার কোনো আর্থিক সহায়তা বা অনুদান চায় না; তাদের একমাত্র দাবি, ওসমান যে আদর্শ ও বিপ্লবী আন্দোলনের জন্য জীবন দিয়েছেন, তা পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করা হোক।
ওমর বিন হাদি বলেছেন, আমরা কোনো ধরনের আর্থিক সহায়তা বা অনুদান চাই না। তিনি বলেন, ওসমান যে বিপ্লবী আন্দোলনের জন্য জীবন দিয়েছে, সেই অসমাপ্ত বিপ্লবকে সমাপ্ত করাই তাদের একমাত্র দাবি। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকালে মগবাজারে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত দোয়া মাহফিলে এ আহ্বান জানান তিনি।
ওমর বিন হাদি বলেন, আমাদের প্রায় সময় ওসমান বলতো আমি যদি কখনো রবের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে যাই তাহলে আপনি শহিদের ভাই হবেন। আমার মাকে বলতো আমি যদি চলে যাই তাহলে আপনি শহিদের মা হবেন। এর চেয়ে আর গর্বের কিছু নাই। কিন্তু আমি শহিদের ভাই হতে চাই নাই। আমি চেয়েছিলাম রাজপথে বিপ্লবী ওসমানের পাশে থেকে। এই বাংলাদেশকে আধিপত্যবাদ মুক্ত করতে। আমি চেয়েছিলাম ইনসাফের বাংলাদেশ পর্যন্ত গঠন না হবে আমরা রাজপথ ছাড়বো না। কিন্তু আজকে ওসমান চলে গেছেন। আল্লাহকে তাকে সর্বোচ্চ পুরস্কার দিয়ে নিয়ে গেছেন।
ওমর বিন হাদি বলেন, শুক্রবার জুমার নামাজের পর গুলিবিদ্ধ হওয়ার এক সপ্তাহ পর সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন ওসমান হাদি। তার শাহাদাতে পরিবার, ইনকিলাব মঞ্চ এবং আন্দোলনের সহযোদ্ধারা গভীরভাবে শোকাহত ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। আমরা এখনও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারি নাই। জানিনা আমরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবো কিনা।
বক্তব্যে শেষে তিনি ওসমান হাদির আট মাসের সন্তানের জন্য, তার স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের জন্য দোয়া চান। বাবার মৃত্যুর পর দুই ভাইকে বড় করার ক্ষেত্রে ছোট বোনের ত্যাগের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। মানসিকভাবে ভেঙে পড়া বোনের সুস্থতার জন্যও সবার কাছে দোয়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, সরকার যদি হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ধরতে কী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে, তা জনগণের সামনে স্পষ্ট না করে, তাহলে মানুষের কাছে সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হবে। তিনি বলেন, জনগণ মনে করতে পারে সরকার সব জেনেও নীরব সম্মতি দিচ্ছে।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, হত্যাকাণ্ডে যারাই জড়িত থাকুক এমনকি তারা যদি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যও হয়, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণার পরদিন একজন সংসদ সদস্য প্রার্থীর হত্যাকাণ্ডকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলা যায় না। এর রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক দায় নির্বাচন কমিশনকেও নিতে হবে।
ওমর বিন হাদি বলেছেন, আমরা কোনো ধরনের আর্থিক সহায়তা বা অনুদান চাই না। তিনি বলেন, ওসমান যে বিপ্লবী আন্দোলনের জন্য জীবন দিয়েছে, সেই অসমাপ্ত বিপ্লবকে সমাপ্ত করাই তাদের একমাত্র দাবি। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকালে মগবাজারে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত দোয়া মাহফিলে এ আহ্বান জানান তিনি।
ওমর বিন হাদি বলেন, আমাদের প্রায় সময় ওসমান বলতো আমি যদি কখনো রবের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে যাই তাহলে আপনি শহিদের ভাই হবেন। আমার মাকে বলতো আমি যদি চলে যাই তাহলে আপনি শহিদের মা হবেন। এর চেয়ে আর গর্বের কিছু নাই। কিন্তু আমি শহিদের ভাই হতে চাই নাই। আমি চেয়েছিলাম রাজপথে বিপ্লবী ওসমানের পাশে থেকে। এই বাংলাদেশকে আধিপত্যবাদ মুক্ত করতে। আমি চেয়েছিলাম ইনসাফের বাংলাদেশ পর্যন্ত গঠন না হবে আমরা রাজপথ ছাড়বো না। কিন্তু আজকে ওসমান চলে গেছেন। আল্লাহকে তাকে সর্বোচ্চ পুরস্কার দিয়ে নিয়ে গেছেন।
ওমর বিন হাদি বলেন, শুক্রবার জুমার নামাজের পর গুলিবিদ্ধ হওয়ার এক সপ্তাহ পর সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন ওসমান হাদি। তার শাহাদাতে পরিবার, ইনকিলাব মঞ্চ এবং আন্দোলনের সহযোদ্ধারা গভীরভাবে শোকাহত ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। আমরা এখনও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারি নাই। জানিনা আমরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবো কিনা।
বক্তব্যে শেষে তিনি ওসমান হাদির আট মাসের সন্তানের জন্য, তার স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের জন্য দোয়া চান। বাবার মৃত্যুর পর দুই ভাইকে বড় করার ক্ষেত্রে ছোট বোনের ত্যাগের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। মানসিকভাবে ভেঙে পড়া বোনের সুস্থতার জন্যও সবার কাছে দোয়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, সরকার যদি হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ধরতে কী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে, তা জনগণের সামনে স্পষ্ট না করে, তাহলে মানুষের কাছে সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হবে। তিনি বলেন, জনগণ মনে করতে পারে সরকার সব জেনেও নীরব সম্মতি দিচ্ছে।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, হত্যাকাণ্ডে যারাই জড়িত থাকুক এমনকি তারা যদি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যও হয়, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণার পরদিন একজন সংসদ সদস্য প্রার্থীর হত্যাকাণ্ডকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলা যায় না। এর রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক দায় নির্বাচন কমিশনকেও নিতে হবে।