জুলাই চেতনার বাইরে গিয়ে এই সরকার মৌলবাদী শক্তির তাঁবেদারি করছে: উদীচী
প্রকাশিত হয়েছে: ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০৯:২৪ অপরাহ্ণ
স্বাধীনতাবিরোধী, মৌলবাদী অপশক্তিসহ বিভিন্ন মহল থেকে সুস্পষ্ট হুমকি থাকার পরও বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ঠেকাতে অন্তর্বর্তী সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সংগঠনটির নেতারা। তাঁরা বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনার বাইরে গিয়ে এই সরকার মৌলবাদী শক্তির তাঁবেদারি করছে।কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলার প্রতিবাদে আজ শনিবার সকালে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে উদীচী। পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।রাজধানীর পল্টন মোড় থেকে বেলা ১১টায় উদীচীর শিল্পী–কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। মিছিলটি তোপখানা রোডে সত্যেন সেন চত্বরে (উদীচী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে) গিয়ে শেষ হয়। সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি শিবাণী ভট্টাচার্য্য।
সমাবেশে উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে বলেন, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রথম আলো, দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয় এবং ছায়ানট ভবনে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর থেকেই উদীচীর ওপর হামলার সরাসরি হুমকি দেওয়া হচ্ছিল।অমিত রঞ্জন দে বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন পোস্টে উসকানি দেওয়া হয়। তখন থেকেই সবার আশঙ্কা ছিল, যেকোনো সময় উদীচী কেন্দ্রীয় কার্যালয় আক্রান্ত হতে পারে। তারপরও সেটির নিরাপত্তায় কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি সরকার।উদীচীর সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে আরও বলেন, ‘এ কারণেই গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় বিনা বাধায় উদীচীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করতে পেরেছে মৌলবাদী ও অন্ধকারের শক্তি।’ আগুনে উদীচীর ৫৭ বছরের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র, বাদ্যযন্ত্র ও আসবাবপত্রের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উদীচীর সহসাধারণ সম্পাদক প্রদীপ ঘোষ বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা প্রথম আলো, দ্য ডেইলি স্টার এবং প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে সুস্থ সংস্কৃতিচর্চায় অনবদ্য অবদান রাখা ছায়ানটের ওপর যারা হামলা করেছে, তারা প্রকৃতপক্ষে চায় না, বাংলাদেশে শান্তিশৃঙ্খলা ফিরে আসুক। সে জন্যই হাদির মৃত্যুর সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পর্ক না থাকার পরও এসব প্রতিষ্ঠানে তাণ্ডব চালানো হয়েছে।’সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন উদীচীর সংগঠনবিষয়ক সম্পাদক শেখ আনিসুর রহমান ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি হাসান হাফিজুর রহমান।
সমাবেশে উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে বলেন, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রথম আলো, দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয় এবং ছায়ানট ভবনে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর থেকেই উদীচীর ওপর হামলার সরাসরি হুমকি দেওয়া হচ্ছিল।অমিত রঞ্জন দে বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন পোস্টে উসকানি দেওয়া হয়। তখন থেকেই সবার আশঙ্কা ছিল, যেকোনো সময় উদীচী কেন্দ্রীয় কার্যালয় আক্রান্ত হতে পারে। তারপরও সেটির নিরাপত্তায় কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি সরকার।উদীচীর সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে আরও বলেন, ‘এ কারণেই গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় বিনা বাধায় উদীচীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করতে পেরেছে মৌলবাদী ও অন্ধকারের শক্তি।’ আগুনে উদীচীর ৫৭ বছরের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র, বাদ্যযন্ত্র ও আসবাবপত্রের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উদীচীর সহসাধারণ সম্পাদক প্রদীপ ঘোষ বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা প্রথম আলো, দ্য ডেইলি স্টার এবং প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে সুস্থ সংস্কৃতিচর্চায় অনবদ্য অবদান রাখা ছায়ানটের ওপর যারা হামলা করেছে, তারা প্রকৃতপক্ষে চায় না, বাংলাদেশে শান্তিশৃঙ্খলা ফিরে আসুক। সে জন্যই হাদির মৃত্যুর সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পর্ক না থাকার পরও এসব প্রতিষ্ঠানে তাণ্ডব চালানো হয়েছে।’সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন উদীচীর সংগঠনবিষয়ক সম্পাদক শেখ আনিসুর রহমান ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি হাসান হাফিজুর রহমান।