Daily Ittefaq Daily Ittefaq | অন্যান্য

বাংলাদেশী নারীদের ‘চুলু ফার ইস্ট’ পর্বতে সফল আরোহণ

প্রকাশিত হয়েছে: ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০৮:২৭ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশী নারীদের ‘চুলু ফার ইস্ট’ পর্বতে সফল আরোহণ
রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের কালজয়ী বিজ্ঞান কল্পকাহিনী “সুলতানা’র স্বপ্ন” গতবছর ইউনেস্কো কর্তৃক ‘মেমরি অফ দ‍্য ওয়ার্ল্ড রিজিওনাল রেজিস্টার ফর এশিয়া প্যাসিফিক’ তালিকায় স্থান করে নেয়। এই নারীবাদী সাহিত্যকর্ম থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ‘সুলতানাজ ড্রিম আনবাউন্ড’ বা ‘সুলতানার স্বপ্ন অবারিত’ স্লোগানে ‘নারীদের শীতকালীন অভিযান ২০২৫ সিজন টু’ পরিচালিত হয়।

বাংলার নারীর অনন্য এই বিশ্বজনীন স্বীকৃতি উদযাপন উপলক্ষে গতবছর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের নারীদের শীতকালীন পর্বতাভিযান শুরু হয়। 

সেই ধারাবাহিকতায় এবছরও দ্বিতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক পেমেন্টস টেকনোলজি ব্র্যান্ড ‘মাস্টারকার্ড বাংলাদেশ’-এর আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতায় ‘নারীদের শীতকালীন অভিযান’ ‘‘সুলতানা’র স্বপ্ন অবারিত’’ পরিচালিত হয় নেপালের অন্নপূর্ণা হিমালের অন্তস্থিত দুইটি ৬০০০+ মিটার উচ্চতার পর্বতে। 

প্রথম এটেম্প নেওয়া হয়েছিল ৭ ডিসেম্বর পিসাং পর্বতে। বেশ কিছু প্রতিকূলতার কারণে মাত্র ২০০ মিটারের একটু বেশি উচ্চতার ব্যবধান থেকে ফিরে আসতে হয় তখন।

পিসাং পর্বত থেকে ফিরে এসে তারা আরেকটি ৬০০০+ মিটার পর্বতে নতুন করে অভিযানের উদ্যোগ নেন। এবার লক্ষ্য ৬০৫৯ মিটার উচ্চতার চুলু ফার ইস্ট। ১৫ ডিসেম্বর সকাল ৭টা ১৯ মিনিটে তারা এই পর্বত চূড়ায় আরোহণ করতে সক্ষম হন। উল্লেখ্য এটি বাংলাদেশের নারীদের প্রথম শীতকালীন ৬০০০+ মিটার অভিযান। বাংলাদেশের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ দিন ১৬ ডিসেম্বর; বিজয় দিবসের প্রাক্কালে হিমালয়ের ৬০৫৯ মিটার উচ্চতা থেকে এই তিন প্রমীলা স্মরণ করেন স্বাধীনতার জন্য ৩০ লক্ষ শহিদ ও ২ লক্ষ বীরাঙ্গনার অবদান। তারা স্মরণ করেন নারী জাগরণের অগ্রদূত রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনকে। যার অন্তর্নিহিত শক্তিতেই পরিচালিত হয় নারীদের এই উল্লেখযোগ্য পর্বতাভিযান। এই অভিযানের সহযোগী হিসেবে আছে ‘মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর’। অভিযানটি এন্ডোর্স করেছে ‘ইউনেস্কো ঢাকা অফিস’ এবং পরিচালনা করছে তরুণদের এডভেঞ্চার প্রতিষ্ঠান ‘অভিযাত্রী’।

এই অভিযানে দলনেতা হিসেবে আছেন বাংলাদেশের প্রথম এভারেস্ট আরোহণকারী নারী নিশাত মজুমদার, সাথে ছিলেন তাহুরা সুলতানা রেখা এবং ইয়াছমিন লিসা। এছাড়াও ট্রেকিং টিমে ছিলেন ‘ট্রেক উইথ নিশাত’ ২০২৫ এর মেন্টি নুসরাত জাহান ফাবিহা।

এই অভিযানের লক্ষ্য বাংলাদেশের নারীদের দৃঢ়তা, কল্পনাশক্তি ও সাহসিকতা উদযাপন করা।