Daily Ittefaq Daily Ittefaq | সারাদেশ

‘টিকটকে আসক্ত’ স্ত্রীকে হত্যা করে সেফটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখেন যুবক

প্রকাশিত হয়েছে: ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১০:৫৭ অপরাহ্ণ
‘টিকটকে আসক্ত’ স্ত্রীকে হত্যা করে সেফটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখেন যুবক
বগুড়ার সদরে সেপটিক ট্যাংক থেকে মারুফা নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় নিহত নারীর স্বামী মুকুল মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

পুলিশ জানায়, টিকটকে আসক্ত হয়ে পড়াকে কেন্দ্র করে ক্ষুব্ধ হয়ে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ সেপটিক ট্যাংকে গুম করেন মুকুল মিয়া।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সদর উপজেলার শেখেরকোলা ইউনিয়নের নুরুইল মধ্যপাড়া এলাকায় মুকুল মিয়ার বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে মারুফার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত মারুফা বগুড়া সদর উপজেলার পীরগাছা নন্দীপাড়া এলাকার মাহাবুব আলমের মেয়ে।

ডিবি পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৯ বছর আগে পারিবারিকভাবে মারুফাকে বিয়ে করেন মুকুল মিয়া। বিয়ের পর থেকেই তাঁদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। স্বামীর নিষেধ সত্ত্বেও টিকটক করাকে কেন্দ্র করে বিরোধ চরমে ওঠে।

গত ১৩ ডিসেম্বর রাত ১০টার দিকে মারুফাকে হত্যার পর বাড়ির বাথরুমের সেপটিক ট্যাংকে মরদেহ ফেলে সিমেন্ট দিয়ে ঢেকে দেন মুকুল মিয়া। পরে বিষয়টি আড়াল করতে বগুড়া সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন তিনি, যেখানে দাবি করা হয়—মারুফা কাউকে না জানিয়ে অজ্ঞাত স্থানে চলে গেছেন।

এ ঘটনার পর বগুড়া পুলিশ সুপারের নির্দেশে জেলা গোয়েন্দা শাখা ছায়া তদন্ত শুরু করে। তদন্তে বেরিয়ে আসে, নিখোঁজের অভিযোগকারী স্বামী মুকুল মিয়াই তাঁর স্ত্রীকে হত্যা করে মরদেহ গুম করেছেন।

বগুড়া জেলা গোয়েন্দা শাখার ইনচার্জ ইকবাল বাহার জানান, “টিকটকে আসক্ত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে মুকুল মিয়া স্ত্রী মারুফাকে হত্যা করেন। পরে লাশ সেপটিক ট্যাংকে গুম করে রাখেন।”

তিনি আরও জানান, উদ্ধার করা মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মুকুল মিয়াকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।