Daily Ittefaq
|
রাজনীতি
একটি মহল দেশকে পরিকল্পিতভাবে নৈরাজ্যের পথে ঠেলে দিতে চায়: মির্জা ফখরুল
প্রকাশিত হয়েছে: ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০১:২৪ পূর্বাহ্ণ
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে সহিংসতা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি অভিযোগ করেন, একটি চিহ্নিত মহল পরিকল্পিতভাবে দেশকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিতে চাইছে এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রক্রিয়াকে অনিশ্চিত করার ষড়যন্ত্র করছে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে সেখানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির একটি জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শরিফ ওসমান বিন হাদি মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি অবিলম্বে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানান।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, এই অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে সহিংস ঘটনা ঘটেছে। দৈনিক প্রথম আলো, ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারসহ কয়েকটি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে, যা সাংবাদিকদের নিরাপত্তাকে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। এ সময় বিশিষ্ট সাংবাদিক ও নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটে বলে তিনি অভিযোগ করেন। পাশাপাশি ছায়ানট, উদীচীসহ কয়েকটি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলা ও অগ্নিসংযোগের কথাও উল্লেখ করেন।
তিনি আরও জানান, খুলনায় ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের ভবনে হামলা, ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে অগ্নিসংযোগ, ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারে ভাঙচুর, উত্তরা এলাকায় দোকানপাটে হামলা এবং বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক নেতাদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। চট্টগ্রাম ও রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন জেলাতেও সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে।
এসব ঘটনাকে ‘ঘৃণ্য ও ন্যক্কারজনক’ আখ্যা দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, পুরোনো একটি চিহ্নিত গোষ্ঠী দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে জনগণের ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক অর্জন নস্যাৎ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে এবং নতুনভাবে ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে চায়।
সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলে বিএনপির মহাসচিব বলেন, সরকারের নাকের ডগায় এসব ঘটনা ঘটলেও জনগণ মনে করছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের ভূমিকা সন্তোষজনক নয়। এর ফলে দেশ-বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
তিনি বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নিন্দা জানিয়েছে এবং দোষীদের বিচারের দাবি তুলেছে। এরপরও সহিংসতা চলতে থাকায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রক্রিয়া নিয়ে গভীর শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, শান্তিকামী ও গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এসব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে এবং রক্তের বিনিময়ে অর্জিত দেশ ও গণতন্ত্র রক্ষা করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যে মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমদ, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ (টুকু) ও মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীর বিক্রম উপস্থিত ছিলেন।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে সেখানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির একটি জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শরিফ ওসমান বিন হাদি মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি অবিলম্বে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানান।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, এই অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে সহিংস ঘটনা ঘটেছে। দৈনিক প্রথম আলো, ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারসহ কয়েকটি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে, যা সাংবাদিকদের নিরাপত্তাকে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। এ সময় বিশিষ্ট সাংবাদিক ও নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটে বলে তিনি অভিযোগ করেন। পাশাপাশি ছায়ানট, উদীচীসহ কয়েকটি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলা ও অগ্নিসংযোগের কথাও উল্লেখ করেন।
তিনি আরও জানান, খুলনায় ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের ভবনে হামলা, ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে অগ্নিসংযোগ, ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারে ভাঙচুর, উত্তরা এলাকায় দোকানপাটে হামলা এবং বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক নেতাদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। চট্টগ্রাম ও রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন জেলাতেও সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে।
এসব ঘটনাকে ‘ঘৃণ্য ও ন্যক্কারজনক’ আখ্যা দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, পুরোনো একটি চিহ্নিত গোষ্ঠী দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে জনগণের ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক অর্জন নস্যাৎ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে এবং নতুনভাবে ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে চায়।
সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলে বিএনপির মহাসচিব বলেন, সরকারের নাকের ডগায় এসব ঘটনা ঘটলেও জনগণ মনে করছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের ভূমিকা সন্তোষজনক নয়। এর ফলে দেশ-বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
তিনি বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নিন্দা জানিয়েছে এবং দোষীদের বিচারের দাবি তুলেছে। এরপরও সহিংসতা চলতে থাকায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রক্রিয়া নিয়ে গভীর শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, শান্তিকামী ও গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এসব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে এবং রক্তের বিনিময়ে অর্জিত দেশ ও গণতন্ত্র রক্ষা করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যে মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমদ, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ (টুকু) ও মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীর বিক্রম উপস্থিত ছিলেন।