Daily Ittefaq
|
বিশ্ব সংবাদ
সিরিয়ায় আইএসের ডেরায় যুক্তরাষ্ট্রের ‘অপারেশন হোকিয়ে’ শুরু
প্রকাশিত হয়েছে: ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১১:১১ পূর্বাহ্ণ
সিরিয়ায় সক্রিয় আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে ‘অপারেশন হোকিয়ে’ নামে এক বিশাল যৌথ সামরিক অভিযান শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও সিরীয় সেনাবাহিনী।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এই অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মূলত গত সপ্তাহে সিরিয়ার পালমিরায় মার্কিন-সিরীয় এক গাড়িবহরে আইএসের প্রাণঘাতী হামলার প্রতিশোধ নিতেই এই পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। শুক্রবার থেকেই শুরু হওয়া এই অভিযানে আইএসের অন্তত ৭০টি কৌশলগত লক্ষ্যবস্তু, অস্ত্রের গুদাম এবং অবকাঠামো ধ্বংস করা হয়েছে বলে পেন্টাগন জানিয়েছে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী হেগসেথ জানিয়েছেন যে, শুক্রবারের এই অভিযানে এফ-১৫ এবং এ-১০ যুদ্ধবিমানের পাশাপাশি অ্যাপাচে হেলিকপ্টার ও শক্তিশালী হিমার্স (HIMARS) রকেট সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। এই হামলায় আইএসের বিপুল সংখ্যক যোদ্ধা নিহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
jwARI.fetch( $( "#ari-image-jw6946669350ce5" ) );
হেগসেথ স্পষ্ট করে বলেছেন, এটি কোনো নতুন যুদ্ধের সূচনা নয় বরং মার্কিন সেনাদের ওপর হামলার একটি কঠোর প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ। সিরিয়ার মার্কিন ঘাঁটিতে বর্তমানে প্রায় ১ হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছে।
এই সামরিক অভিযানের প্রেক্ষাপটটি তৈরি হয়েছিল গত সপ্তাহের শনিবার, যখন সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় শহর পালমিরায় আইএসের হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও এক দোভাষী নিহত হন। সিরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওই হামলার মূল হোতা ছিলেন সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সাবেক এক সদস্য, যিনি পরবর্তীতে আইএসে যোগ দেন। সেই হামলার জবাব দিতেই ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের নির্দেশে এই সাঁড়াশি অভিযান চালানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ দেওয়া এক বার্তায় জানিয়েছেন যে, মার্কিন বাহিনী সিরিয়ায় অত্যন্ত কঠোর প্রতিশোধ নিচ্ছে এবং এই অভিযানে সিরিয়া সরকার পূর্ণ সমর্থন প্রদান করেছে।
বর্তমানে সিরিয়ার রণক্ষেত্রে আইএসের অবস্থানগুলো একের পর এক গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। মার্কিন সামরিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, এই অভিযানের মূল লক্ষ্য হলো আইএসের পুনরুত্থান ঠেকানো এবং তাদের সক্ষমতাকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়া।
‘অপারেশন হোকিয়ে’ এর মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন বাহিনীর শক্তিমত্তা প্রদর্শনের পাশাপাশি জঙ্গি দমনে তাদের আপসহীন অবস্থানের বার্তা দেওয়া হয়েছে। সিরিয়া সরকারের সঙ্গে এই অভিযানে মার্কিন বাহিনীর সমন্বয় একটি নতুন রাজনৈতিক ও সামরিক সমীকরণ তৈরি করেছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
সূত্র: রয়টার্স
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এই অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মূলত গত সপ্তাহে সিরিয়ার পালমিরায় মার্কিন-সিরীয় এক গাড়িবহরে আইএসের প্রাণঘাতী হামলার প্রতিশোধ নিতেই এই পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। শুক্রবার থেকেই শুরু হওয়া এই অভিযানে আইএসের অন্তত ৭০টি কৌশলগত লক্ষ্যবস্তু, অস্ত্রের গুদাম এবং অবকাঠামো ধ্বংস করা হয়েছে বলে পেন্টাগন জানিয়েছে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী হেগসেথ জানিয়েছেন যে, শুক্রবারের এই অভিযানে এফ-১৫ এবং এ-১০ যুদ্ধবিমানের পাশাপাশি অ্যাপাচে হেলিকপ্টার ও শক্তিশালী হিমার্স (HIMARS) রকেট সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। এই হামলায় আইএসের বিপুল সংখ্যক যোদ্ধা নিহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
jwARI.fetch( $( "#ari-image-jw6946669350ce5" ) );
হেগসেথ স্পষ্ট করে বলেছেন, এটি কোনো নতুন যুদ্ধের সূচনা নয় বরং মার্কিন সেনাদের ওপর হামলার একটি কঠোর প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ। সিরিয়ার মার্কিন ঘাঁটিতে বর্তমানে প্রায় ১ হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছে।
এই সামরিক অভিযানের প্রেক্ষাপটটি তৈরি হয়েছিল গত সপ্তাহের শনিবার, যখন সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় শহর পালমিরায় আইএসের হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও এক দোভাষী নিহত হন। সিরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওই হামলার মূল হোতা ছিলেন সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সাবেক এক সদস্য, যিনি পরবর্তীতে আইএসে যোগ দেন। সেই হামলার জবাব দিতেই ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের নির্দেশে এই সাঁড়াশি অভিযান চালানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ দেওয়া এক বার্তায় জানিয়েছেন যে, মার্কিন বাহিনী সিরিয়ায় অত্যন্ত কঠোর প্রতিশোধ নিচ্ছে এবং এই অভিযানে সিরিয়া সরকার পূর্ণ সমর্থন প্রদান করেছে।
বর্তমানে সিরিয়ার রণক্ষেত্রে আইএসের অবস্থানগুলো একের পর এক গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। মার্কিন সামরিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, এই অভিযানের মূল লক্ষ্য হলো আইএসের পুনরুত্থান ঠেকানো এবং তাদের সক্ষমতাকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়া।
‘অপারেশন হোকিয়ে’ এর মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন বাহিনীর শক্তিমত্তা প্রদর্শনের পাশাপাশি জঙ্গি দমনে তাদের আপসহীন অবস্থানের বার্তা দেওয়া হয়েছে। সিরিয়া সরকারের সঙ্গে এই অভিযানে মার্কিন বাহিনীর সমন্বয় একটি নতুন রাজনৈতিক ও সামরিক সমীকরণ তৈরি করেছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
সূত্র: রয়টার্স