Daily Ittefaq
|
বিশ্ব সংবাদ
‘গণহত্যার পক্ষে দাঁড়িয়েও মাচাদোকে শান্তি পুরস্কার’, নোবেল ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে মামলা
প্রকাশিত হয়েছে: ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১১:১৮ পূর্বাহ্ণ
উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান আসাঞ্জ নোবেল শান্তি পুরস্কার বিতর্কে নতুন আন্তর্জাতিক উত্তেজনা সৃষ্টি করেছেন। তিনি সুইডেনে নোবেল ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন, যার মধ্যে উল্লেখ রয়েছে ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেতা মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে শান্তি পুরস্কার প্রদানের ঘটনায় তহবিলের অপব্যবহার এবং যুদ্ধাপরাধে সহায়তা ও উৎসাহ প্রদানের অভিযোগ।
আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, আসাঞ্জের অভিযোগে বলা হয়েছে, মাচাদোকে পুরস্কারের অর্থ হিসেবে প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার (১১ লাখ ৮০ হাজার ডলার) প্রদান বন্ধ করতে পদক্ষেপ নেওয়া হোক। অভিযোগপত্রে নোবেল ফাউন্ডেশনের শীর্ষ নেতৃত্বসহ মোট ৩০ জনকে তহবিল অপব্যবহার, মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে সহায়তা এবং আগ্রাসনের জন্য অর্থায়নের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
গত অক্টোবরে মাচাদোকে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা ও একনায়কতন্ত্র থেকে মুক্তির শান্তিপূর্ণ প্রচেষ্টার স্বীকৃতিস্বরূপ নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়। তবে আসাঞ্জ দাবি করেন, পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে নোবেল শান্তি পুরস্কার শান্তির প্রতীক থেকে সামরিক হস্তক্ষেপ ও যুদ্ধকে সমর্থন করার হাতিয়ারে রূপান্তরিত হয়েছে।
আসাঞ্জের অভিযোগে বলা হয়েছে, মাচাদো যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক চাপ ও হস্তক্ষেপকে সমর্থন করছেন, যার লক্ষ্য ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করা। এটি নোবেল শান্তি পুরস্কারের প্রতিষ্ঠাতা আলফ্রেড নোবেলের উইলে বর্ণিত আদর্শের লঙ্ঘন। উইলে উল্লেখ রয়েছে যে, শান্তি পুরস্কার দেওয়া হবে এমন ব্যক্তির কাছে, যারা মানবতার কল্যাণে এবং জাতির মধ্যে ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবেন।
মাচাদোর নোবেল জয় থেকেই বিতর্ক শুরু হয়। কারণ, তিনি গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন এবং নোবেল জয় ঘোষণার পরই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনালাপে সমর্থন জানিয়েছেন। এছাড়াও ভবিষ্যতে ক্ষমতায় গেলে ভেনেজুয়েলার দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
আসাঞ্জ অভিযোগ করেছেন, মাচাদো যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর নীতির প্রতি সমর্থন জানাচ্ছেন। ট্রাম্প প্রশাসন মাদুরোকে মাদকচক্রের সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ করলেও গোয়েন্দা সংস্থার মধ্যে সন্দেহ রয়েছে। সম্প্রতি লাতিন আমেরিকায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অভিযান ও হামলায় বহু মানুষ নিহত হয়েছে, যা শান্তি প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
আসাঞ্জ সতর্ক করে বলেন, নোবেল তহবিল যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী কাজে ব্যবহার হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। যদিও শান্তি পুরস্কার নরওয়েতে ঘোষিত হয়, আর্থিক সিদ্ধান্তের দায় স্টকহোমভিত্তিক নোবেল ফাউন্ডেশনের ওপর বর্তায়।
জুলিয়ান আসাঞ্জ ২০০৬ সালে উইকিলিকস প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১০ সালে মার্কিন সেনা গোয়েন্দা তথ্য ফাঁস করে বিশ্বমঞ্চে আলোড়ন তৈরি করেন। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর ২০২৪ সালে যুক্তরাজ্য থেকে মুক্ত হয়ে অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে আসেন। এবার নোবেল শান্তি পুরস্কার বিতর্কে তার অভিযোগ আন্তর্জাতিক উত্তেজনা তৈরি করেছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, আসাঞ্জের অভিযোগে বলা হয়েছে, মাচাদোকে পুরস্কারের অর্থ হিসেবে প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার (১১ লাখ ৮০ হাজার ডলার) প্রদান বন্ধ করতে পদক্ষেপ নেওয়া হোক। অভিযোগপত্রে নোবেল ফাউন্ডেশনের শীর্ষ নেতৃত্বসহ মোট ৩০ জনকে তহবিল অপব্যবহার, মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে সহায়তা এবং আগ্রাসনের জন্য অর্থায়নের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
গত অক্টোবরে মাচাদোকে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা ও একনায়কতন্ত্র থেকে মুক্তির শান্তিপূর্ণ প্রচেষ্টার স্বীকৃতিস্বরূপ নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়। তবে আসাঞ্জ দাবি করেন, পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে নোবেল শান্তি পুরস্কার শান্তির প্রতীক থেকে সামরিক হস্তক্ষেপ ও যুদ্ধকে সমর্থন করার হাতিয়ারে রূপান্তরিত হয়েছে।
আসাঞ্জের অভিযোগে বলা হয়েছে, মাচাদো যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক চাপ ও হস্তক্ষেপকে সমর্থন করছেন, যার লক্ষ্য ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করা। এটি নোবেল শান্তি পুরস্কারের প্রতিষ্ঠাতা আলফ্রেড নোবেলের উইলে বর্ণিত আদর্শের লঙ্ঘন। উইলে উল্লেখ রয়েছে যে, শান্তি পুরস্কার দেওয়া হবে এমন ব্যক্তির কাছে, যারা মানবতার কল্যাণে এবং জাতির মধ্যে ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবেন।
মাচাদোর নোবেল জয় থেকেই বিতর্ক শুরু হয়। কারণ, তিনি গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন এবং নোবেল জয় ঘোষণার পরই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনালাপে সমর্থন জানিয়েছেন। এছাড়াও ভবিষ্যতে ক্ষমতায় গেলে ভেনেজুয়েলার দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
আসাঞ্জ অভিযোগ করেছেন, মাচাদো যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর নীতির প্রতি সমর্থন জানাচ্ছেন। ট্রাম্প প্রশাসন মাদুরোকে মাদকচক্রের সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ করলেও গোয়েন্দা সংস্থার মধ্যে সন্দেহ রয়েছে। সম্প্রতি লাতিন আমেরিকায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অভিযান ও হামলায় বহু মানুষ নিহত হয়েছে, যা শান্তি প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
আসাঞ্জ সতর্ক করে বলেন, নোবেল তহবিল যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী কাজে ব্যবহার হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। যদিও শান্তি পুরস্কার নরওয়েতে ঘোষিত হয়, আর্থিক সিদ্ধান্তের দায় স্টকহোমভিত্তিক নোবেল ফাউন্ডেশনের ওপর বর্তায়।
জুলিয়ান আসাঞ্জ ২০০৬ সালে উইকিলিকস প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১০ সালে মার্কিন সেনা গোয়েন্দা তথ্য ফাঁস করে বিশ্বমঞ্চে আলোড়ন তৈরি করেন। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর ২০২৪ সালে যুক্তরাজ্য থেকে মুক্ত হয়ে অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে আসেন। এবার নোবেল শান্তি পুরস্কার বিতর্কে তার অভিযোগ আন্তর্জাতিক উত্তেজনা তৈরি করেছে।