Daily Ittefaq
|
সারাদেশ
কুড়িগ্রামে হাড়কাঁপানো শীতে স্থবির জনজীবন
প্রকাশিত হয়েছে: ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১১:৩৭ পূর্বাহ্ণ
উত্তরের সীমান্তঘেঁষা জেলা কুড়িগ্রামে জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। গত কয়েক দিন ধরে বয়ে যাওয়া হিমেল হাওয়া আর কনকনে ঠান্ডায় জনজীবন প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে তাপমাত্রা এই পর্যায়ে থাকলেও বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৭ শতাংশ হওয়ায় শীতের প্রকোপ সাধারণের অনুভূতির চেয়ে অনেক বেশি তীব্র মনে হচ্ছে। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়া এই জনপদে সূর্যের দেখা মেলাও দায় হয়ে পড়েছে, যার ফলে শীতের কামড় থেকে রেহাই পাচ্ছে না কুড়িগ্রামবাসী।
ভোর থেকেই ঘন কুয়াশার কারণে পুরো জেলা অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে এবং সকাল ১০টা পার হওয়ার পরও রোদের দেখা না মেলায় শীতের দাপট কমেনি। এই তীব্র শীতের কারণে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষ, দিনমজুর এবং চরাঞ্চলের বাসিন্দারা।
প্রচণ্ড ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে অনেকেই সকালে কাজে বের হতে পারছেন না, ফলে তাদের দৈনন্দিন উপার্জনে টান পড়ছে। বিশেষ করে যারা ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের চরাঞ্চলে বসবাস করেন, তাদের কষ্ট এখন সীমাহীন। ধরলার পাড় এলাকার ষাটোর্ধ্ব খলিল মিয়া তার কষ্টের কথা জানিয়ে বলেন যে, হাড়কাঁপানো বাতাসের কারণে বাইরে বের হওয়া দায়, কিন্তু পেটের দায়ে বাধ্য হয়েই কাজে যেতে হচ্ছে।
তীব্র কুয়াশার প্রভাব পড়েছে কুড়িগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপরও। জেলার বিভিন্ন মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে অত্যন্ত ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। এতে করে গন্তব্যে পৌঁছাতে যাত্রীদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে এবং চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। শীতের কারণে শিশুদের সর্দি-কাশি ও বয়স্কদের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। স্থানীয় বাজারে পুরোনো গরম কাপড়ের দোকানে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেলেও চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত শীতবস্ত্রের অভাব রয়েছে বলে অনেক বাসিন্দা অভিযোগ করেছেন।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানিয়েছেন যে, বর্তমানে যে তাপমাত্রা বিরাজ করছে তা বাতাসের অধিক আর্দ্রতার কারণে আরও শীতল অনুভূতি তৈরি করছে। তিনি সতর্ক করে বলেন যে, বর্তমান পরিস্থিতি ও বাতাসের এই উচ্চ আর্দ্রতা আগামী আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে।
কুড়িগ্রামের মতো কৃষিপ্রধান অঞ্চলে এমন আবহাওয়া দীর্ঘস্থায়ী হলে রবি শস্যের ওপরও এর প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। শীতের এই প্রকোপ মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে তাপমাত্রা এই পর্যায়ে থাকলেও বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৭ শতাংশ হওয়ায় শীতের প্রকোপ সাধারণের অনুভূতির চেয়ে অনেক বেশি তীব্র মনে হচ্ছে। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়া এই জনপদে সূর্যের দেখা মেলাও দায় হয়ে পড়েছে, যার ফলে শীতের কামড় থেকে রেহাই পাচ্ছে না কুড়িগ্রামবাসী।
ভোর থেকেই ঘন কুয়াশার কারণে পুরো জেলা অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে এবং সকাল ১০টা পার হওয়ার পরও রোদের দেখা না মেলায় শীতের দাপট কমেনি। এই তীব্র শীতের কারণে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষ, দিনমজুর এবং চরাঞ্চলের বাসিন্দারা।
প্রচণ্ড ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে অনেকেই সকালে কাজে বের হতে পারছেন না, ফলে তাদের দৈনন্দিন উপার্জনে টান পড়ছে। বিশেষ করে যারা ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের চরাঞ্চলে বসবাস করেন, তাদের কষ্ট এখন সীমাহীন। ধরলার পাড় এলাকার ষাটোর্ধ্ব খলিল মিয়া তার কষ্টের কথা জানিয়ে বলেন যে, হাড়কাঁপানো বাতাসের কারণে বাইরে বের হওয়া দায়, কিন্তু পেটের দায়ে বাধ্য হয়েই কাজে যেতে হচ্ছে।
তীব্র কুয়াশার প্রভাব পড়েছে কুড়িগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপরও। জেলার বিভিন্ন মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে অত্যন্ত ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। এতে করে গন্তব্যে পৌঁছাতে যাত্রীদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে এবং চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। শীতের কারণে শিশুদের সর্দি-কাশি ও বয়স্কদের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। স্থানীয় বাজারে পুরোনো গরম কাপড়ের দোকানে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেলেও চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত শীতবস্ত্রের অভাব রয়েছে বলে অনেক বাসিন্দা অভিযোগ করেছেন।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানিয়েছেন যে, বর্তমানে যে তাপমাত্রা বিরাজ করছে তা বাতাসের অধিক আর্দ্রতার কারণে আরও শীতল অনুভূতি তৈরি করছে। তিনি সতর্ক করে বলেন যে, বর্তমান পরিস্থিতি ও বাতাসের এই উচ্চ আর্দ্রতা আগামী আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে।
কুড়িগ্রামের মতো কৃষিপ্রধান অঞ্চলে এমন আবহাওয়া দীর্ঘস্থায়ী হলে রবি শস্যের ওপরও এর প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। শীতের এই প্রকোপ মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।