অ্যাশেজ জিততে আর ৪ উইকেট চাই অস্ট্রেলিয়ার
প্রকাশিত হয়েছে: ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০১:২৫ অপরাহ্ণ
নাহ, রেকর্ডটি আর হচ্ছে না। তবে ২৩ বছর আগের রেকর্ডের পাশে বসার চোখরাঙানিটা আছে ইংল্যান্ডের জন্য।চলতি অ্যাশেজে পার্থ, ব্রিসবেন ও অ্যাডিলেড মিলিয়ে আজ ১০ম দিনের খেলা হলো। জয়ের জন্য বিশ্ব রেকর্ড গড়ার চ্যালেঞ্জ নিয়ে ৪৩৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামা ইংল্যান্ড আজ অ্যাডিলেডে চতুর্থ দিন শেষে হারের শঙ্কায় পড়েছে। ৬৩ ওভারে ৬ উইকেটে ২০৭ রান নিয়ে দিনের খেলা শেষ করে সফরকারীরা। অর্থাৎ, জয়ের জন্য আগামীকাল টেস্টের শেষ দিনে আরও ২২৮ রান চাই ইংল্যান্ডের। হাতে ৪ উইকেট। এই সমীকরণ দেখে যে কেউ-ই বাজি ধরতে পারেন অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে।
হাতে আরও দুই-একটি উইকেট বেশি থাকলে বলা যেত, অলৌকিক কিছু করে ফেলতে পারলে ইংল্যান্ডের জয়ের সুযোগ আছে। কিন্তু আজ শেষ সেশনের শেষ দিকে ১০ বলের মধ্যে বেন স্টোকস ও জ্যাক ক্রলি ফেরায় সেই সুযোগও আর নেই বললেই চলে। ড্রয়ের প্রশ্নই অবান্তর। চোখ রাঙাচ্ছে হারই। তাতে এখনই হিসাবটা কষে ফেলা যায়।
অস্ট্রেলিয়ায় পাঁচ ম্যাচের অ্যাশেজে দ্রুততম সময়ে সিরিজ হারের রেকর্ড ১১ দিনে। সেটি ২০০২-০৩ মৌসুমে হেরেছিল ইংল্যান্ড। আজ রেকর্ডটি ভাঙার সুযোগ পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সেটা না হলেও আগামীকাল ১১তম দিনে প্যাট কামিন্সের দলের হাতে ছাইদানিটা (অ্যাশেজ) ওঠার সম্ভাবনাই খুব বেশি। অর্থাৎ ২৩ বছর আগের সেই রেকর্ডটাই আগামীকাল ফিরে আসবে অ্যাডিলেডে—এটা এখনই বলে দেওয়া যায়। আর এই শঙ্কা নিয়েই চতুর্থ দিনটা পার করেছেন ইংল্যান্ডের দুই ব্যাটসম্যান উইল জ্যাকস (১১*) ও জেমি স্মিথ (২*)।
নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৬ ওভারে ৪ উইকেটে ২৭১ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছিল অস্ট্রেলিয়া। আজ ১৮.৪ ওভার টিকেছে তারা। ১৪২ রানে আগের দিন অপরাজিত থাকা ট্রাভিস হেড ১৭০ রানে আউট হন। নিজের ইনিংসে আরও ২০ রান যোগ করে ৭২ রানে আউট হন ক্যারি। ৮৪.৪ ওভারে অস্ট্রেলিয়া ৩৪৯ রানে অলআউট হওয়ার পর জয়ের জন্য ৪৩৫ রানের লক্ষ্য পায় ইংল্যান্ড।এমন লক্ষ্যে যেমন শুরু দরকার ছিল, তেমনটা পায়নি ইংল্যান্ড। তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার বেন ডাকেটকে ফেরান কামিন্স। ১০ম ওভারে ওলি পোপও তাঁর শিকার হন। স্লিপে পোপের দুর্দান্ত ক্যাচ নেন মারনাস লাবুশেন। টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে অস্ট্রেলিয়ান পেসার কামিন্সের এটা ছিল ১৫০তম উইকেট। এই তালিকায় দ্বিতীয় কামিন্স শীর্ষস্থান দখল করতে চাইলে আরও ৩৮ উইকেট নিতে হবে। ১৮৭ উইকেট নিয়ে শীর্ষে পাকিস্তানি কিংবদন্তি ইমরান খান। পরে জো রুটকে (৩৯) আউট করে কামিন্স সেই পথেও এগিয়েছেন এক ধাপ।
উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে টেস্টে ১৩তমবার কামিন্সের শিকার হন রুট। ইংল্যান্ডের সংগ্রহ তখন ২৯ ওভারে ৩ উইকেটে ১০৯।
আরও পড়ুন২৩ বছর আগের রেকর্ড চোখ রাঙাচ্ছে ইংল্যান্ডকে১৭ ঘণ্টা আগে
তবে এর মধ্যেও ইংল্যান্ডের পাল্টা প্রতিরোধের গল্পও আছে। টেস্টে ওপেনার হিসেবে নিজের শততম ইনিংসে ১৫১ বলে ৮৫ রান করেন জ্যাক ক্রলি। তৃতীয় উইকেটে রুটের সঙ্গে ৭৮ ও চতুর্থ উইকেটে হ্যারি ব্রুকের সঙ্গে ৬৮ রানের জুটি গড়েন। অস্ট্রেলিয়ান অফ স্পিনার নাথান লায়নকে অপ্রয়োজনে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হন ৩০ রান করা ব্রুক। ইংল্যান্ডের সংগ্রহ তখন ৪৭.২ ওভারে ৪ উইকেটে ১৭৭। ব্রুকের আউটের পরই মূলত ধীরে ধীরে ছিটকে পড়ে ইংল্যান্ড।
ব্রুক আউট হওয়ার পর স্টোকস এসে ক্রলির সঙ্গে জুটি বাঁধার চেষ্টা করলেও দারুণ এক ডেলিভারিতে তা হতে দেননি লায়ন। রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে বল মাঝের স্টাম্পে পিচ করে ব্যাটের ফাঁক দিয়ে স্টোকসকে (৫) বোল্ড করেন লায়ন। টেস্টে এ নিয়ে ১০বার ইংল্যান্ড অধিনায়ককে আউট করলেন তিনি। ৫২তম ওভারের শেষ বলে স্টোকসকে হারানোর পর মাঝে এক ওভার উইকেট পড়েনি। পরের ওভারেই ক্রলিকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন লায়ন। ইংল্যান্ডের সংগ্রহ তখন ৫৩.৩ ওভারে ৬ উইকেটে ১৯৪। অথচ চা–বিরতি পর্যন্তও ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ২৭ ওভারে ২ উইকেটে ১০৬। শেষ সেশনে ৩৬ ওভারে ১০১ রান তোলার বিনিময়ে ৪টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। শেষ বেলায় অবিচ্ছিন্ন ১৩ রানের জুটি গড়ে দিনের খেলা শেষ করেন স্মিথ ও জ্যাকস।সংক্ষিপ্ত স্কোর:অস্ট্রেলিয়া: ৩৭১ ও ৩৪৯ (হেড ১৭০*, ক্যারি ৭২, খাজা ৪০; টাং ৪/৭০, কার্স ৩/৮০, আর্চার ১/২০)ইংল্যান্ড: ২৮৬ ও ২০৭/৬ (ক্রলি ৮৫, রুট ৩৯, ব্রুক ৩০, পোপ ১৭; কামিন্স ৩/২৪, লায়ন ৩/৬৪, বোল্যান্ড ০/২৩, স্টার্ক ০/৩৫)(চতুর্থ দিন শেষে)
আরও পড়ুনমরুভূমিতে ‘বাংলা পেস’ লড়াই, ‘বাঁহাতি কামান’ মোস্তাফিজের বিপক্ষে হার ‘টপ গিয়ার’ তাসকিনের৩ ঘণ্টা আগে
হাতে আরও দুই-একটি উইকেট বেশি থাকলে বলা যেত, অলৌকিক কিছু করে ফেলতে পারলে ইংল্যান্ডের জয়ের সুযোগ আছে। কিন্তু আজ শেষ সেশনের শেষ দিকে ১০ বলের মধ্যে বেন স্টোকস ও জ্যাক ক্রলি ফেরায় সেই সুযোগও আর নেই বললেই চলে। ড্রয়ের প্রশ্নই অবান্তর। চোখ রাঙাচ্ছে হারই। তাতে এখনই হিসাবটা কষে ফেলা যায়।
অস্ট্রেলিয়ায় পাঁচ ম্যাচের অ্যাশেজে দ্রুততম সময়ে সিরিজ হারের রেকর্ড ১১ দিনে। সেটি ২০০২-০৩ মৌসুমে হেরেছিল ইংল্যান্ড। আজ রেকর্ডটি ভাঙার সুযোগ পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সেটা না হলেও আগামীকাল ১১তম দিনে প্যাট কামিন্সের দলের হাতে ছাইদানিটা (অ্যাশেজ) ওঠার সম্ভাবনাই খুব বেশি। অর্থাৎ ২৩ বছর আগের সেই রেকর্ডটাই আগামীকাল ফিরে আসবে অ্যাডিলেডে—এটা এখনই বলে দেওয়া যায়। আর এই শঙ্কা নিয়েই চতুর্থ দিনটা পার করেছেন ইংল্যান্ডের দুই ব্যাটসম্যান উইল জ্যাকস (১১*) ও জেমি স্মিথ (২*)।
নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৬ ওভারে ৪ উইকেটে ২৭১ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছিল অস্ট্রেলিয়া। আজ ১৮.৪ ওভার টিকেছে তারা। ১৪২ রানে আগের দিন অপরাজিত থাকা ট্রাভিস হেড ১৭০ রানে আউট হন। নিজের ইনিংসে আরও ২০ রান যোগ করে ৭২ রানে আউট হন ক্যারি। ৮৪.৪ ওভারে অস্ট্রেলিয়া ৩৪৯ রানে অলআউট হওয়ার পর জয়ের জন্য ৪৩৫ রানের লক্ষ্য পায় ইংল্যান্ড।এমন লক্ষ্যে যেমন শুরু দরকার ছিল, তেমনটা পায়নি ইংল্যান্ড। তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার বেন ডাকেটকে ফেরান কামিন্স। ১০ম ওভারে ওলি পোপও তাঁর শিকার হন। স্লিপে পোপের দুর্দান্ত ক্যাচ নেন মারনাস লাবুশেন। টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে অস্ট্রেলিয়ান পেসার কামিন্সের এটা ছিল ১৫০তম উইকেট। এই তালিকায় দ্বিতীয় কামিন্স শীর্ষস্থান দখল করতে চাইলে আরও ৩৮ উইকেট নিতে হবে। ১৮৭ উইকেট নিয়ে শীর্ষে পাকিস্তানি কিংবদন্তি ইমরান খান। পরে জো রুটকে (৩৯) আউট করে কামিন্স সেই পথেও এগিয়েছেন এক ধাপ।
উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে টেস্টে ১৩তমবার কামিন্সের শিকার হন রুট। ইংল্যান্ডের সংগ্রহ তখন ২৯ ওভারে ৩ উইকেটে ১০৯।
আরও পড়ুন২৩ বছর আগের রেকর্ড চোখ রাঙাচ্ছে ইংল্যান্ডকে১৭ ঘণ্টা আগে
তবে এর মধ্যেও ইংল্যান্ডের পাল্টা প্রতিরোধের গল্পও আছে। টেস্টে ওপেনার হিসেবে নিজের শততম ইনিংসে ১৫১ বলে ৮৫ রান করেন জ্যাক ক্রলি। তৃতীয় উইকেটে রুটের সঙ্গে ৭৮ ও চতুর্থ উইকেটে হ্যারি ব্রুকের সঙ্গে ৬৮ রানের জুটি গড়েন। অস্ট্রেলিয়ান অফ স্পিনার নাথান লায়নকে অপ্রয়োজনে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হন ৩০ রান করা ব্রুক। ইংল্যান্ডের সংগ্রহ তখন ৪৭.২ ওভারে ৪ উইকেটে ১৭৭। ব্রুকের আউটের পরই মূলত ধীরে ধীরে ছিটকে পড়ে ইংল্যান্ড।
ব্রুক আউট হওয়ার পর স্টোকস এসে ক্রলির সঙ্গে জুটি বাঁধার চেষ্টা করলেও দারুণ এক ডেলিভারিতে তা হতে দেননি লায়ন। রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে বল মাঝের স্টাম্পে পিচ করে ব্যাটের ফাঁক দিয়ে স্টোকসকে (৫) বোল্ড করেন লায়ন। টেস্টে এ নিয়ে ১০বার ইংল্যান্ড অধিনায়ককে আউট করলেন তিনি। ৫২তম ওভারের শেষ বলে স্টোকসকে হারানোর পর মাঝে এক ওভার উইকেট পড়েনি। পরের ওভারেই ক্রলিকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন লায়ন। ইংল্যান্ডের সংগ্রহ তখন ৫৩.৩ ওভারে ৬ উইকেটে ১৯৪। অথচ চা–বিরতি পর্যন্তও ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ২৭ ওভারে ২ উইকেটে ১০৬। শেষ সেশনে ৩৬ ওভারে ১০১ রান তোলার বিনিময়ে ৪টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। শেষ বেলায় অবিচ্ছিন্ন ১৩ রানের জুটি গড়ে দিনের খেলা শেষ করেন স্মিথ ও জ্যাকস।সংক্ষিপ্ত স্কোর:অস্ট্রেলিয়া: ৩৭১ ও ৩৪৯ (হেড ১৭০*, ক্যারি ৭২, খাজা ৪০; টাং ৪/৭০, কার্স ৩/৮০, আর্চার ১/২০)ইংল্যান্ড: ২৮৬ ও ২০৭/৬ (ক্রলি ৮৫, রুট ৩৯, ব্রুক ৩০, পোপ ১৭; কামিন্স ৩/২৪, লায়ন ৩/৬৪, বোল্যান্ড ০/২৩, স্টার্ক ০/৩৫)(চতুর্থ দিন শেষে)
আরও পড়ুনমরুভূমিতে ‘বাংলা পেস’ লড়াই, ‘বাঁহাতি কামান’ মোস্তাফিজের বিপক্ষে হার ‘টপ গিয়ার’ তাসকিনের৩ ঘণ্টা আগে